বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
ঋণখেলাপি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতিকে
সফলভাবে কাজে লাগাতে হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, এর পাশাপাশি মামলার শুনানি পর্যায়ে বিবাদীর অযৌক্তিক কালক্ষেপণ রোধ করতে
হবে।
আজ ঢাকার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অর্থঋণ আদালতে কর্মরত যুগ্ম
জেলা ও দায়রা জজদের জন্য ভার্চুয়ালি আয়োজিত ১৪৪তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, অর্থঋণ আদালতের মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা হলে হাজার
হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ অনাদায়ি থেকে যায়। উল্টো মামলাগুলোর পেছনে আর্থিক
প্রতিষ্ঠানগুলোর যেমন ব্যয় হয়, তেমনি ব্যবস্থাপনায় সৃষ্টি হয় জটিলতা। বিষয়টি বিবেচনায়
নিয়েই অর্থঋণ আদালত আইন-২০০৩ সংশোধন করে আদালতের বাইরে এডিআর পদ্ধতিতে মামলা
নিষ্পত্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, ঋণখেলাপি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে এডিআর পদ্ধতিকে আরো
কার্যকরভাবে অনুসরণ করতে হবে। এর পাশাপাশি শুনানি পর্যায়ে বিবাদীর অযৌক্তিক কালক্ষেপণ
রোধ; অর্থঋণ আদালত আইনের অধীনে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আদালত, সংশ্লিষ্ট
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সুষ্ঠু ও নিয়মিত
সমন্বয়সাধন এবং বাদীপক্ষ/ডিক্রিদার পক্ষের সময়মত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা
দরকার। এছাড়া ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ মঞ্জুরির বিষয়ে স্বচ্ছতা ও
জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা ও ঋণ আদায়ে বাদীপক্ষের দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে
তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, সারা দেশের কোন আদালতে কতটি ঋণখেলাপি মামলা রয়েছে, কেন তা
নিষ্পত্তি হচ্ছে না এবং কী উদ্যোগ নিলে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে সে বিষয়ে তথ্য ও মতামত
সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে নিশ্চয়ই এ মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়বে। তিনি বলেন,
সব ধরনের মামলাজট কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসাই এখন বিচার বিভাগের সবচেয়ে বড়
চ্যালেঞ্জ। সে কারণেই বর্তমান সরকার বাংলাদেশে একটি সুদক্ষ ও বিশ্বমানের বিচার বিভাগ
গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার
সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার এবং
ইনস্টিটিউটের পরিচালক গোলাম কিবরিয়া বক্তৃতা করেন।